পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

অাপন সময়কে তুলে ধরেন গদ্য লেখক

এডগার এল্যান পো'র অগাস্তে দোঁ পিয়ে, স্যার অার্থার কোনান ডয়েলের শার্লক হোমস,  অাগাথা ক্রিস্টির পিয়েরে কিংবা বাংলা সাহিত্যে শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ অার সত্যজিত রায়ের ফেলুদা- যে অমর গোয়েন্দা চরিত্রের নামটিই বলি না কেনো,  প্রতিটি চরিত্রের চারিত্রিক প্যাটার্ণে,  রহস্য বর্ণনার অাঙ্গিকে বা গোয়েন্দা গনের তুখড় লজিক্যাল ইন্টেলিজেন্সে যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় সফলতা অাসলেও প্রতিটি চরিত্র কেন্দ্র করে রহস্য ঘটনাগুলো পড়তে একঘেয়েমি লাগে না। কারণ প্রতিটি চরিত্রের সামাজিক পটভূমি ও ঘটনা সময়কাল ভিন্ন।
গোয়েন্দা এই চরিত্রগুলোর স্রষ্টা লেখকগণ এইসকল চরিত্র ও ঘটনার কল্পনা সংগঠনের সমসাময়িক স্হান ও সময় কে নিজ ধ্যান ধারনায় অতুলনীয়ভাবে তুলে ধরেছেন।
শার্লক হোমসের কাহিনীতে অামরা উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকের লন্ডনের সুন্দর বর্ননা পাই, তেমনি বোমক্যাশের কাহিনীতে বিংশ শতকের শুরুর কলকাতার স্পষ্ট চিত্র অাপন অক্ষিপটে ভেসে উঠতে দেখি।



উপরের দীর্ঘ সূচনার উদ্দেশ্য হলো গদ্য সাহিত্য অামাদের পৃথিবীতে কেনো তার একটু সংক্ষিপ্ত উত্তর খোঁজা।
প্রতিজন লেখকই তার সময়কে নিজ অভিজ্ঞতায় কল্পনা করে লেখায় ফুটিয়ে তোলেন।
এই সময়কে ধারণ করাটাই  ভবিষ্যত পৃথিবীর জন্য পাথেয়। অতীতকে জানা অার কি।

বাংলাদেশে এখন প্রচুর লেখক, প্রচুর লেখা। সাহিত্য মান, গুন এসব নিয়ে একদল বোদ্ধা অাবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তর্ক বিতর্কেও লিপ্ত। সাহিত্য মান অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্যমান লেখককে,  ভাষাকে কালোত্তীর্ণ করতে পারে। অামার এই অালোচনা সে বিষয়ে নয়। অামি মনে করি,  বিশ্বাস করি প্রত্যেক মানুষই নানা বিচিত্র ও ইউনিক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে জীবন পার করেন। তাই যত বেশি মানুষ গদ্য লিখবে তত বেশি করে সময়, সমাজ ফুটে উঠবে।

সংগত কারণে প্রচুর বই লেখা হচ্ছে এটা ভবিষ্যতের জন্য অতীত উপাত্তের সমাহার।
সকল প্রকাশিত বই তাই অার্কাইভ হওয়া উচিত। অথচ পৃষ্টপোষকতা, প্রকাশকের উদাসীনতা, প্রচার স্বল্পতা, পাঠক অপ্রিয়তা, ভাষার অদক্ষতা,  পরিচিতির অভাব, ব্যতিব্যস্ততা ইত্যাদি না না কারণে একজন নবীন লেখক যেমন হারিয়ে যায়, তেমনি হারিয়ে যায় তার সময় তুলে ধরা গদ্যটিও।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন