পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮

ট্রেনকাব্য 019-024

রোজ রোজ ট্রেন চড়া সকাল বিকেল
দুধারে থোকা থোকা বন, কিলবিলয়ে ছুটে চলা পিচঢালা কতকত পথ, প্রতিটা স্টপেজ, স্টপেজগুলোর নান্দনিকতা, বিবর্তন, নুড়িগুলোর নড়াচড়া
রেললাইনের তলে তলে, কখনও ট্রেন দ্রুত চলে
কখনও ঢিমেতালে...

রোজ রোজ বই পড়া, কল্পনার রেলপথে ছুটে চলা, কখনও দ্রুত কখনও ঢিমতাল
কখনও বোধ, কখনও নির্বোধ
কখনও অতীতের পুরনো পথ, কখনও নতুন পথের স্বপ্ন,
কখনও ভেঙে ফেলা যায় মিথের ভুল অাস্তর,
রোজ রোজ বই পড়া, পথগুলো সব চিনে ফেলা যেমন রোজ রোজ ট্রেনের দুধারেরপথ গিলে খায় স্মৃতিভান্ডার,
রোজ রোজ বই,বই অার বই পড়া..
বিবর্তন, পরিবর্তন এবং বাস্তবতার চিত্রগুলো গিলে খায় স্মৃতিভান্ডার।

#ট্রেনকাব্য ০২৪

রেললাইনে চোখটা মেলে দিলেই
বহুদূর চলে যায় মন
সমান্তরালে দুটি চোখ এপাশ ওপাশ করে, খেলে;
নুড়ি পাথরের সম্ভার, তাদের
খুনসুটি গুঞ্জন, নড় চড়ে এবং সরে;
রেললাইন অনঢ়, চোখদুটোর খেলা অনঢ়,
অার বলতে পারো নুড়ি পাথর লাফায়
লাফাতে লাফাতে দৃষ্টিকে ধাক্কা দেয়
কথা বলে, বলে অামরা অাছি তবেই অাছে রেলললাইন, বোকা সমান্তরাল একাএকা পাশাপাশি।
হঠাৎ চোখের পথে রেলব্রীজ, নিচে জল
গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে কিছু অতি লম্ফবাজ নুড়ি
অামার চোখ বলে,-নুড়ি তুমি থেমে গেছ, গেছ জলে;
রেলের লাইন চলে গেছে ছেড়ে তোমায় দূর থেকে দূরে...
সাথে চলে গেছে অামার দৃষ্টি...
কারণ অামি সমান্তরাল বোকা রেলে চোখ রেখেছি,
নুড়ি দৃষ্টি তোমাতে নয়, খেলাটা তোমার নয়
কারণ তুমিতো সেকেন্ডারী....

#ট্রেনকাব্য ০২৩

দেখতে না পারলে তার চলন বাঁকা
এলোমেলো অাঁকাজোকা
ঘোড়ার ডিমেরই চিত্র
অথচ যে তোমার মিত্র
সে অাড়ালে দিলেও ধোঁকা
মুগ্ধ হও ক্যনভাস তার যদিওবা ফাঁকা।

#চলনবাঁকা
#ট্রেনকাব্য ০২২

দেখতে না পারলে তার চলন বাঁকা
এলোমেলো অাঁকাজোকা
ঘোড়ার ডিমেরই চিত্র
অথচ যে তোমার মিত্র
সে অাড়ালে দিলেও ধোঁকা
মুগ্ধ হও ক্যনভাস তার যদিওবা ফাঁকা।

#চলনবাঁকা
#ট্রেনকাব্য ০২২

এই ট্রেন টা এক্সপ্রেস
তাই থামেনা সব ঘাটে
জীবনটাও এখন এক্সপ্রেস
তাই কবিতা লিখিনা মাঠে

( ট্রেন কাব্য ০২০)


এইখানে অনেক বগিতে
লেখা থাকে " কোয়াইট ক্যারেজ"
সরু গলির দুপাশে হাসতে মানা
কাঁদতে মানা, মানা অালাপ তর্ক।
হাসি মানব জীবনে এক মহা অর্ঘ,
অতীতে মানুষ মুখোমুখি হাসত
এখন হাসে নীরবে, বিষয়টা
ফেসবুক অার নিজের মাঝে...
কান্নাটাও তাই,
ফেসটু ফেস মানব এক্সপ্রেশন লেস,
হাসছে কাদছে সাথে নিরবতাও
মেইনটেন হচ্ছে বেশ।
এক্সপ্রেশন সব নিজের ভেতর
হাসি কান্নায় পেশীর ব্যায়ামটা হচ্ছে না,
রোবটকে মানুষ করার চেষ্টা চলছে
অার মানুষকে রোবট...
এর বড় সুবিধা হচ্ছে-
জেতা ম্যাচে
দল হারলেও যে মহা ক্ষোভ তাও এই
ফেসবুকেরই মাঝে।

১৯/৩/২০১৮
(ট্রেন কাব্য ০১৯)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন