পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৮

আলোচনা: ৩/৮/২০১৮

এপাশ অার ও পাশের মধ্যে অনেক ছোট ছোট মেশিন বসানো অাছে। এ পাশটা হলো শৈশব অার ও পাশটা পরিণতকাল। মেশিনটা অাখের রস নিংড়ানোর মত।
এই যে শিশুরা লাইসেন্স ঠিকাছে কিনা দেখছে, লেইনে সারি করে গাড়ী চালানো শিখাচ্ছে, পুলিশের চা সিগারেটের বখশিশ বা ঘুষ নিতে মানা করছে... ইত্যাদি ইত্যাদি.... ( গালি জাতীয় প্লেকার্ড বা শ্লোগান কিছু যদি বেশি অশ্লীল বা অপ্রয়োজনীয় হয়েই থাকে তার দায়ভারও শিশুদের নয়, ওদেরকে অামরাই শিখিয়েছি, জন্মপূ্র্ব ওরা শিখে অাসেনি)....এগুলো অাজকে যারা পরিণত হয়ে পক্ষে, বিপক্ষে বলছে ও বলছি বা নিশ্চুপ হয়ে রয়েছে তাদের শত ভাগই শৈশবে কোন না কোনভাবে ভেবেছে-সব ঠিক করে ফেলবো... সততার শৈশবীয় নিষ্ঠায় ভুল ভালো চোখে পড়ে....
তারপর সেই মেশিনগুলো যখন পেরোবে...পরীক্ষায় জিপিএ চাপ, প্রশ্ন অাউট, অকারণ অসুস্হ প্রতিযোগিতা, ইঁদুর দৌড়, ভর্তি ও চাকুরীর মামা-চাচা-ঘুষ-তদবীর থিউরী, দলকানা অাহ্বান, যত্রতত্র ঘুষ, ভেজাল, অমীমাংসীত যত বিচার, অাইনের প্রতি কারও বুড়ো অাঙ্গুল... অার মিথ্যার বেশাতি... ইত্যাদি ইত্যাদি
মিলেমিশে মেশিন হয়ে চিপে শৈশবের গুনাবলী ছিঁবড়ে বানায় দেবে, ওপাড়ে যাবে রসহীন অথবা শুধু রস.... রস অার ছিঁবড়ে একসাথে খুব কম....
ঐ মেশিনগুলো শিশুরা ভাঙতে পারবে না... ইনফেক্ট রাস্তার রাজারাণীও বেশিদিন তারা থাকতে পারবে না, ইতোমধ্যেই চোরা হামলা, পরিণত মানুষের নানা কুটচাল শুরু হয়ে গেছে... অার রাস্তা থেকে সরে যেতেই হয় একসময়... এটাই বাস্তবতা...
কিন্তু যে শিক্ষা পরিণতকালের মানুষদের রিওয়াইনড করে গেলো, বলে গেলো "সব ভালো করে ফেলবো" ইচ্ছা টা গভীরে ছিলো হয়তো সবার...
সেই শিক্ষাটা ক'জন মনে রাখবো?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন