পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯

লেখা চুরি: শংকা ফর বোথ লেখক এবং প্রকাশক

‘বই’ - জগতে আমার মনে হয় সবচেয়ে প্রিয় জড়বস্তু,
নিজের প্রকাশিত বই চোখ মেলে দেখে যে আনন্দ বোধ হয়েছিলো তার কোন উপমা হয় না;
লেখক হতে পারে নি, ইদানীং বিনা ফরমায়েশে বলতে গেলে গল্প লেখাও হয় না... তাতে কি বইমেলা আসিতেছে , লেখক আর প্রকাশক গণ আমার স্ক্রলের পরতে পরতে ঝলক তো জাগাবেই চোখে...আমিও চোখ মেলে দেখিটেখি...
তেমনই চোখ বুলানোর ফাঁকে দেখলাম প্রকাশকের বিলাপ... আর বিলাপ করার মতই , তরুন নতুন লেখক কে যেন অন্যের গল্প চুরি করে পান্ডুলিপি বানিয়ে প্রকাশককে মুগ্ধ করে বইও প্রকাশ করে ফেলেছে, অন্তর্জালে কবিতা চুরির ঘটনা আজকাল আর মোটেও বিরল নয়, আমার মত নাম পরিচয়হীন পাতি লেখকের গল্পও চুরি করে প্রকাশ করেছে এমন এক আবিষ্কার নিজেই করে ফেলেছিলাম☹️...
কিন্তু চৌর্যবৃত্তিতো ভালোকথা নয়, এত্ত এত্ত বই প্রকাশ পায়, এক প্রকাশক কয়টা লেখা খুঁজে দেখবে আর-সম্ভবও নয়, ভালো কথা নয় কারণ ঐ সব চোরের কারণে নতুন প্রকৃত যোগ্য লেখকরা ও প্রকাশকদের কাছে অবিশ্বাসের বাঁশ খেতে বাধ্য হবে।



এতো গেলো নকল লেখক সমাচার , এর উল্টো সমাচারও ঘটতে পারে ।
নতুন নতুন হরেক রকম প্রকাশনীর উদ্ভব ঘটেছে বাংলাদেশে বিগত এক দশকে, এককালে লেখক হবার মরুদৌড়ে ক্লান্ত অনেকেও আজ প্রকাশক কাম লেখক বা লেখক কাম প্রকাশক হয়েছেন ( এটাকে একরকম সাধুবাদ দেই কারণ অন্য প্রকাশকের কাছে অর্থ লগ্নি না করে নিজেই নিজের প্রকাশনায় অর্থ লগ্নি অনেক বুদ্ধিদীপ্ত কাজ) । এখন  এই ধরুন একজন লেখক বা কবি তার হৃদয় নিংড়ানো অকৃত্রিম স্বীয় পান্ডুলিপি অচেনা অজানা নতুন নতুন প্রকাশককে পাঠালো, অনেক সুবোধ প্রকাশকের মাঝে দু একটা এমন প্রকাশক থাকতে পারে যারা একখানা গুনগত পান্ডুলিপি পেয়ে অন্যকারও নামে ছাপিয়ে দিলো, তখন সেই মূল লেখকের আঙ্গুল চোষা ছাড়া আর অন্য কোন কাজ করার থাকবে না।অনেক ক্ষেত্রে হয়তো লেখক জানতেও পারবেনা।
চৌর্যবৃত্তি তুঙ্গে এমন এক সমাজে লেখক ও প্রকাশক উভয়ের জন্যই বিষয়টি শংকার।

#বইমেলা
#লেখাচুরি
#লেখক_প্রকাশক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন