পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০

অষ্ট্রেলিয়া প্রাকৃতিক প্রতকিূলতা প্রসংগে

কৌতূহলী বাংলাদেশী শুভানুধ্যায় কেউ কেউ আমাকে বা অন্য কাউকে প্রশ্ন করে-
এই যে অষ্ট্রেলিয়ায় আগুন জ্বলছে, তোমাদের/তোদের ওখানে কি আগুনের তাপ লাগছে ?
এই যে উট পানি খেয়ে খেলছে তা তোমরা/তোরা উটের থেকে কিভাবে সেভ থাকো/থাকিস?
এইযে বড় বড় শিলা পড়লো গাড়ী টারী বাড়ীর জানালা ভাঙেনি ?
এই যে বন্যা হচ্ছে তোমরা/তোমাদের বাড়ীতে পানি ঢোকেনি?
এই যে এত ঠান্ডা, মাইনাস তাপমাত্রা - ঘর থেকে বের হচ্ছো/ হচ্ছিস কি করে?
এই যে এত গরম সহ্য করছিস/ করছো কিভাবে?
এই যে আকাশে ধোঁয়ায় ছেয়ে হিয়েছিলে তোমরা/ তোরা শ্বাস নিয়েছো/ নিয়েছিস কেমনে
এই যে এত এত বৃষ্টি শুরু হয়েছে তোমরা/ তোরা খিঁচুড়ি রান্না করার সময় পাও/পাস?....

অনেক বাংলাদেশি পত্রিকাতেও ঐসকল বিষয় নিয়ে ফিচার বা শংকা প্রকাশ করতে দেখা যায়...
হ্যাঁ অষ্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বৈরি ও আনপ্রেডিকটেবল আচরণ করছে সত্য , ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে ; কিন্তু অষ্ট্রেলিয়া আয়তনে বিশ্বের ষষ্ট দেশ, ৭৬ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তন । যে কারণে প্রত্যেক প্রতিকূলতা প্রত্যেক এলাকাতে একসাথে সরাসরি প্রভাব ফেলে না। এত বড় এলাকায় মানুষ বাস করে বড় আকারে কেবল কোষ্টাল লাইন ধরে, সংখ্যাও মাত্র আড়াই কোটির মত।
অষ্ট্রেলিয়ার ভূ-প্রকৃতি পৃথিবীর অন্য সকল স্থান থেকে লক্ষ লক্ষ বছর ধরেই ভিন্ন, রুক্ষ, অনুর্বর কিন্তু স্ট্যাবল। যে কারণে জীব বৈচিত্র্যও এখানে সম্পূর্ণ আলাদা। ইভালুয়েশনের নিদর্শন ভরপুর।
সম্প্রতি স্ট্যাবিলিটি নারাচাড়া দিচ্ছে... এইটা শংকার।
২০১৯-২০ এর ভয়াবহ বুশ ফায়ারে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার বর্গ কিমি এর মত এলাকা পুড়েছে , যা পুরো বাংলাদেশের প্রায় সমান।
কিন্তু অষ্ট্রেলিয়ার বনভূমির মোট আয়তনও সাড়ে ১৩ লক্ষ বর্গ কিমি । এর একটা বড় অংশ অবশ্যই পুড়ে ছাই।
কিন্তু সবতো আর পোড়েনি।
বন্যা সেইভাবে শুরু না হলেও ফ্ল্যাশ ফ্ল্যাডিং হচ্ছে।
ব্রীসবেন ২০১১ সালে প্রবল বন্যার ধকল সয়েছে।
প্রকৃতি তো এমনই আমরা তার যত ক্ষতি করবো সে তা আমাদেরই ফিরিয়ে দেবে।


স্থান: ১৫০ নং বাস
ব্রীসবেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন