জ্ঞান বিচারে মানুষ খুব সরলভাবে তিনপ্রকারের।-
১. জ্ঞান বিকশিত কিন্তু সুবিধাবাদী
২. জ্ঞান বিকশিত কিন্তু মানবতাবাদী
প্রথম জন জ্ঞানের চর্চা করেন এবং তার জ্ঞান বিকশিত, তিনি যুক্তি ওবোঝেন; একই সাথে অন্ধ বিশ্বাস , কুসংস্কার এবং প্রমান- অপ্রমানের বিষয় বোঝেন কিন্তু বোঝার পরও যদি কোন অন্ধ বিশ্বাস , কুসংস্কার বা অপ্রমানিত জিনিস পালন, চর্চা বা প্রদর্শনের কারণে তার বস্তুগত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত ও সহজ লোভ্য হয় সে ক্ষেত্রে বিকশিত জ্ঞানের ব্যবহার না করে সুবিধা জনক সবই নিজস্ব নিরাপত্তার মধ্যে থেকে করতে সচেষ্ট থাকেন; অধিকতর শো আপে ব্যস্ত থাকেন। ভয় এবং লোভ এই দুই সমস্যাকে অনুধাবন করলেও উভয়কেই তিনি নিজের সুবিধার জন্য কাজে লাগাতে অধিক ব্যস্ত থাকেন । নিজের সুবিধার জন্য জ্ঞানের বার্তায় মিথ্যে মিশিয়ে হলেও স্বার্থ হাসিল করে নেন।
দ্বিতীয়জন জ্ঞানের চর্চা করেন এবং তার জ্ঞান বিকশিত, তিনি যুক্তি বোঝেন; অন্ধ বিশ্বাস , কুসংস্কার ও প্রমান- অপ্রমানের বিষয় বোঝেন এবং অন্বত্ব, কুসংস্কার যথাসম্ভব পরিহার করেন তাতে নিজের অসুবিধা হলেও, বিকশিত জ্ঞান নিজের স্বার্থের অধিক বৈশ্বিক ও সামাজিক স্বার্থে প্রয়োগ করেন , মানব কল্যান নিয়ে ভাবেন , শো আপ করেন না।
ভয় ও লোভ এই দুই মূল সমস্যার উভয় থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করেন।
অন্যকে জ্ঞানের বার্তায় মিথ্যে প্রলোভনে সুবিধা আদায় করেন না।
তৃতীয়জন জ্ঞান চর্চা করেন না। জ্ঞান বিকাশ নিয়ে কোন ভাবনা নেই। প্রচলিত বিশ্বাস আর পুরাতন ধ্যান ধারনাই চলার মূল পুঁজি। ইনি প্রথম ব্যক্তি দ্বারা সদাই প্রভাবিত ও ব্যবহৃত হন, এনার ভয় ও লোভ দুটোই বেশ প্রবল। ভয় থেকে বাঁচতে ও লোভ পূরনে যে কোন অন্ধ বিশ্বাসের প্রতি সর্বোচ্চ ভালোবাসা প্রদর্শন করতে প্রস্তুত । যুক্তি , প্রমান নিয়ে মাথা ঘামান না। সত্য মিথ্যে যাচাইয়ে জ্ঞানের অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তা অনূভব করেন না।
তিন দর্শনই হাইপোথ্যাটিকাল এবং প্রতিটিরই বিপরীত ঘটনার ব্যতিক্রমও বিদ্যমান।
ব্রীসবেন
৩১/১/২০২০
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন