পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ছোট গল্প ও ...

‘ছোট গল্প’ হলো আমার কাছে সাহিত্যের সবচেয়ে নিগুঢ়াংশ। ছোট গল্প একজন গল্পকারের মস্তিষ্কে সমাজ থেকে সংগৃহিত সহস্র অসংগতির মাঝে সবচেয়ে যন্ত্রনা প্রদায়ক একটি বিষয়ের বা সুস্পষ্ট উপলব্ধির সুনির্দিষ্ট প্রকাশের অভিপ্রায়।

ছোটগল্প সমসাময়িক অসংগতি ও বিসদৃশ্যকে কখনও স্পষ্ট কিংবা কখনও রূপকে অল্প বাক্য জুড়ে জুড়ে দৃশ্যায়িত করে।
কিন্তু দু:খের বিষয় শত কোটির ( তথাকথিত) কাছাকাছি বিক্রিত একুশে বইমেলায় এত এত এত পাঠকের মধ্যে ছোট গল্পের পাঠক অতি নগন্য।
গল্পকারের নিগুঢ় অসংগতি ও যন্ত্রনার প্রকাশগুলো অধিকাংশই অপাঠ্য রয়ে যায়। বাংলাদেশে আজও অনেক গল্পকারের কিছু কিছু গল্প সেই রবীন্দ্রনাথ বা বনফুলের দু একটি অসামান্য ছোট গল্পের ধারে কাছে পৌঁছালেও সেগুলো বিচার্য হবার মত পাঠ হয় কম। গল্পকারের সতীর্থ গল্পকার বন্ধু বান্ধব কদাচিৎ পড়ে নিলেও - ‘ দারুন লিখেছো, চালিয়ে যাও...’
এর বেশি সে আর কি বলবে, নিজেরওতো তথৈবৈচ অবস্থা।
যার ফলস্বরূপ লেখক হবার শতভাগ দৃঢ়তা নিয়ে পথে নামা গল্পকারের অনেকেই তার নিগুঢ় ছোট গল্পগুলো মনে মনে সাজিয়ে রেখে ছোটগল্পটির মূল চরিত্রকে টানেন, রসে মিশিয়ে মিষ্টি মধুর প্রলেপ দেন , নৌকায় উঠিয়ে শীতল বাতাসে জলাধার ধরে ঘোরাতে থাকেন, জীবনের জন্ম হতে মৃত্যু এক আঁকাবাকা রেখা আঁকেন... মূলত এক দীর্ঘ উপন্যাসই লিখে ফেলেন। উপন্যাস লেখা নি:সন্দেহে এক কঠিনতম অধ্যাবসায়ের কাজ এবং এ সত্যি যে বাংলাদেশে এখনও উপন্যাসের কিছু পাঠক আছে, কিন্তু অসংগতি প্রকাশক তীব্র বাক্যময় ছোট গল্পের কিন্তু কদর নেই, একই সাথে ভাব প্রকাশের উপর নানান খড়গ তো রয়েছেই রাষ্ট্র কর্তৃক। ছোট গল্পে বাক্য মেপে মেপেই লিখতে হয় কিন্তু ভাব, যাতনা ও উপলব্ধি কেটেকুটে তো পরিপূর্ণতা সম্ভব নয়...



১১/২/২০২০

স্থান:
১৫০ নং বাস
ব্রীসবেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন