আজকাল মঙ্গল গ্রহের নিত্যনতুন তরতাজা ভিডিও দেখাটাও একটা বিনোদন।
তো এমন এক ভিডিওর নিচে একজন কমেন্ট করেছে - “ এই মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার মঙ্গলের পিছে খরচ না করে আমরা যে পৃথিবীকে ধ্বংস করছি তা ঠিক করার কাজে ব্যয় করা উচিৎ” ... এইরকম কিছু একটা।
সাথে সাথে মনে হলো .... পৃথিবীকে আমরা মানুষ কি কি ভাবে , কত স্টাইলে ধ্বংস করছি - এই বিতর্কেরইতো কোন অবসান সম্ভব নয় ... টু ম্যানি মানুষ আর টু ম্যানি আরগুমেন্ট....টু ম্যানি বিলিভ আর টু ম্যানি ফ্যালাসি.... টু ম্যানি পাওয়ার আর টু ম্যানি শো ডাউন....etc.
উদাহরণ স্বরুপ কেউ ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন বা সিএফসির ক্ষতির সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা দিলে আরেক দল হিসাব করতে শুরু করে ফাইননান্সিয়াল লাভ ক্ষতি ....
প্রশান্ত মহাসাগরে একটি দ্বীপ রাষ্ট্র আছে যার নাম “নাউরু”। গত শতকে সেখানের মাটিতে থাক সব টুকু ফসফেট সারা বিশ্ব লুটে পুটে নিয়ে খেয়েছে , দেশটাও বেঁচে বেঁচে টাকার বিছানায় লুটোপুটি খেয়েছে আর এখন ফসফেটও প্রায় শেষ , শেষ বিলাসিতাও... প্রকৃতিও ইমবেলেন্স ...
এই পৃথিবীতে মানুষের চাহিদা এত বেশি যে প্রয়োজনের তাগিদে সব লুটে পুটে চেটে নিচ্ছি,
জ্ঞান এত বেশি ভার্সেটাইল যে তর্ক করে করে সমাধানের প্রান্তে পৌঁছে যাবার আগেই ধ্বংস মেনে নিচ্ছি...
আর বিশ্বাস -অবিশ্বাসের দোলচাল-খুনোনখুনি নিয়ে তো বলারই কিছু বাকী নেই....
তো আমরা পৃথিবীর জন্য স্লো ভাইরাস হয়ে উঠেছি...
এবং নির্বোধ ভাইরাস ... কারণ পৃথিবী নেই তো আমরা নেই...
এত ভ্যারাইটি মানুষকে তো একসাথে একমুখি করা যাবে না বা থামানো যাবে না।
মঙ্গল বা এক্সট্রাটেরেসটিয়ালে নতুন আবাস খোঁজার জন্য তাই একদল উপায় খুঁজছে আর কি ...
টাকা তো মানুষেরই উদ্ভাবিত জিনিস ... টাকাকে আমরা নানান ডাইমেশনে ভাগ করেছি, উচ্চ -নিম্ন মূল্য বানিয়ছি, টাকা কেনাবেচাও শিখেছি, ভার্চুয়াল শেয়ার, ক্রিপটো কয়েন কত কত ভাবে টাকা মানে অর্থ-অর্থ খেলা শুরু করেছি....
অর্থ একটা পরিমাপকইতো মূলত ...
যার বেশি আছে তার কিছু মঙ্গল দর্শনে ব্যয় করছে করুক.. ব্যয় মানেই তো অর্থের স্থান বদল ...
কেবল যে লোহা লক্কর আর সেমিকন্ডাকটর, লেন্স টেন্স জুড়ে মঙ্গলের ক্যামেরা ও রোবট বানানো হয়েছে .. সেই গুলো পৃথিবী থেকে মঙ্গলে চলে গেলো....
বাকী টাকতো পৃথিবীতেই হাত বদলেছে মাত্র ....
তাতে করে যদি নতুন কোন আবাস পায় ভবিষ্যত প্রজন্ম
— ভালোই তো হবে , নাকি?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন