পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১

কোভিড-১৯ নিয়ে ...

গত বছর সেজ মামা কোভিড-১৯ তে মারা গেলেন ১৫ই মে .... পারিবারিকভাবে সেই আমাদের উচ্চমানের টনক নড়া শুরু করোনার আঘাত বিষয়ে ...অন্যদের জানি না- আমারতো অবশ্যই ... 

তারপর থেকে এত এত চেনা অচেনা, খ্যাত-বিখ্যাত

ফেসবুক বন্ধুদের পেজে নিয়মিত কোভিডে মৃত্যুর খবর ।

মৃত্যুর খবর শুনতে শুনতে আমরা এখন মৃত্যুর খবর পেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি... অথচ প্রতিটি মৃত্যুই এক একটি অপূর্ণতা ... কারও না কারও কাছে বিশাল শূন্যতা... মৃত্যু বেচে থাকার সাপেক্ষে একটি নেতিবাচক ঘটনা অবশ্যই।

নেতিবাচক ঘটনায় এত বেশি অভ্যস্ত হলে মানবীয় সুস্থিরতায় ক্রাক হতেই পারে... যা মানুষ হিসাবে মানবীয় বেদনার্ত হওয়ার গুনটিতে দীর্ঘকালীন বোধের রূপের বদল ঘটাতে পারে। 


পৃথিবীর প্রতিটি সজ্ঞান মানুষ ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় , বিশ্বাসে কি অবিশ্বাসে , ভয়ে বা আতংকে করোনাকে যে ভয় পেয়েছে তা আর বলে দিতে হবে না।

এই সার্বজনিন আতংকের একটাই কারণ ... প্রযুক্তিগত সভ্যতার চরমতম উৎকর্ষতায় ভয়াবহতার মাত্রা সর্বজনের পকেটে মোবাইলে রেডি টু নো ওলওয়েস। পৃথিবীতে এর আগেও এর চেয়ে ভয়াবহ সব মহামারী হানা দিয়েছে... বারবার দিয়েছে.... এত আতংক ছড়ানোর মত প্রযুক্তিই ছিলো না... কে কোথায় মরল তার আশপাশ ছাড়া জানার কোন উপায়ই ছিলো না...

অথচ সারাদিনের সব ব্যস্তাতর পর একটু আগে ফেসবুক ঘাটার শুরুতেই 

মতিন খসরু, শামসুজ্জামান খান প্রমুখ বিখ্যাত ব্যক্তি সহ বিভিন্ন জনের পোষ্টের বরাতে কমপক্ষে আরও সাত আটটি করোনা জনিত মৃত্যুর খবর পড়লাম মাত্র দু মিনিটে... 


বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে পকেটে মোবাইলে সর্বজ্ঞান থাকার পরও করোনা ভয় না পাওয়ার একটা লক্ষন দেখা যায়, হতে পারে তীব্রভাবে নিয়তি বা ভাগ্য বিশ্বাস একটি কারণ ... এই বিশ্বাস নিসন্দেহে কষ্টবোধ লাঘবে হয়তো সহায়তা করেই ... তাই কঠোর প্রিকশনের বেড়াজাল ভাঙতে তাদের অনেকের কোন দ্বিধা হয়তো হয়না... সহজলোভ্য শান্তির পথ। 


কিন্তু উন্নত বিশ্বের স্বল্প ঘনবসতি ছেড়ে করোনা কি তবে শেষমেষ চড়াও হয়েছে বড় দাগে ঘনবসতি অঞ্চলেই যেমন টি গত বছরের প্রথম কোয়ার্টারে ধারনা করা হয়েছিলো... 

অথচ চায়না সবচেয়ে অধিক জনসংখ্যা সত্ত্বেও কিন্তু 

সেই গত বছর এপ্রিলের পর থেকে একদম লিস্ট আলোচ্য করোনা বিষয়ে... 

তারা কি করোনা যুদ্ধে জয়ী?


বাংলাদেশ কি এই চলমাল লকডাউনটাকে ফ্রুটফুল করতে পারবে ?

নাকি নিয়তির উপরেই ছেড়ে দেবে... অথচ নিয়তি কত নিষ্ঠুর মাঝে মাঝে —- প্রিন্স ফিলিপ ৯৯ বছর বাঁচে আর খেটে খাওয়া রিকশাওয়ালারা কিংবা মাটি কাটা মজুর বাংলাদেশে ক’জনই ৭০/৮০ এর বলয় পার হয় ? উন্নত চিকিৎসার দেশে সব গড় আয়ু বেড়ে যায় আর অনুন্নত চিকিৎসার দেশে গড় আয়ু যায় কমে .... 


অবশ্য করোনার মৃত্যু শেষে গড় আয়ুর হেরফের হিসাব করা যেতে পারে... যদিও আবার করোনার কারনে অন্য অনেক অপঘাতে মৃত্যুও নাকি কমে গেছে ... 


লেখা শেষ হতে চাচ্ছে না... 

তবুও শেষ ....


#কোভিড১৯

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন