Astrology এবং Astronomy দুটি সম্পূর্ণ আলাদা শব্দ।
হয়তো অনেকেই দু’টির ভিন্নতা বা সাতন্ত্রতা জানেনই না।
এষ্ট্রলজি অর্থ জ্যোতিষশাস্ত্র
আর
এষ্ট্রোনমি অর্থ জ্যোতির্বিদ্যা।
এষ্ট্রলজি যেখানে সিউডোসায়েন্স মানে ভিত্তিহীন অপ্রমাণিত এক বিদ্যা
এষ্ট্রনমি সেখানে একটি কমম্লিট সায়েন্স এবং আধুনিক বিজ্ঞানের একটি অন্যতম অংশ।
এষ্ট্রলজি হলো এই যে হাতের রেখায় কোথায় দুই দাগ থাকলে আপনার দুই বিয়ে কিংবা নীলা পাথরে শনির দশা মুক্তি হবে -এই সব...
আর এষ্ট্রনমি হলো এই যে যে গবেষণায় মানুষ এখন মঙ্গলে যাবার পায়তারা করছে ....
এষ্ট্রনমি যেহেতু একদম পিউর সায়েন্স তাই এই বিষয়ে পৃথিবীর বড় বড় উইনিভার্সিটিতে পড়াশুনার ব্যবস্থা আছে ... ফিজিক্স , কোয়ানটাম ফিজিক্স , স্পেস সায়েন্স এর সাথে সম্পর্কযুক্ত....কিন্তু আমার জানামতে কোন এফিলিয়েটেড ইউনিভার্সিটি astrology র উপর কোন অনার্স বা মাষ্টার্স ডিগ্রী দেয় না।
অথচ বাংলাদেশে দেখবেন ‘জ্যোতিষ’ নামক একদল এই কুসংস্কার বিদ্যা দিয়ে অর্থ কামান এবং তারা নামের আগে পরে astrology র উপর বিশাল বিশাল ডিগ্রী প্রাপ্তির টাইটেল ঝুলান।
হ্যাঁ ভারতে বিভিন্ন এলাকায় এষ্ট্রলজি বা জ্যোতিষশাস্ত্র পড়ানোর জন্য কলেজ আছে, তারা বড় বড় ডিগ্রী দেয় , শুধু তাই নয় সম্ভবত ভারতে ( লিংক রেফারেন্স) হাই কোর্টের একটি রায়ও হয়েছিলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উইনিভার্সিটি গ্রান্ড কমিশন কর্তৃক ‘বৈদিক এষ্ট্রলজি’ নামে একটি বিজ্ঞান সাবজেক্টের উপর অনার্স ও মাষ্টার্স চালু করার জন্য।
স্বভাবতই প্রকৃত বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।
অদ্যবধি কোন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে সম্ভবত এই কুসংস্কার বিদ্যাকে সায়েন্স বলে পড়ানো শুরুও করে নি।
কিন্তু বিজেপি সরকারের সময় তা শুরু হতে কতক্ষণ ..
তখন বাংলাদেশের তথাকথিত জ্যোতিষগণ বড় বড় ভার্সিটির ডিগ্রীও লাগিয়ে বসবে ....
এখন অন্য প্রসংগে আসি...
অত্যন্ত গুনী গায়িকা মমতাজ কোথা থেকে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রী নিয়েছে গানের উপর জানি না।
কিন্তু ভারতে যে ভূয়া ভার্সিটি এসব করে বেড়ায় সে সম্পর্কে অনলাইনে অনেক তথ্য আছে।
আমি বিপিএটিসি থেকে ভালো ফলাফলের সুবাধে প্রায় ৩০ জন সরকারী কর্মকর্তার সাথে ২০০৯ সালে ভারতে একটি সরকারী ভ্রমণ ও ট্রেনিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম ।
সেই ট্রেনিংয়ে অংশ নেয়া সকলেই জানেন ভারতের একটি প্রায় ভূয়াসম ট্রেনিং ইনিস্টিটিউটকে আমাদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে দেয়ায় শুরুতে কি পরিমাণ নাজেহাল হতে হয়েছিলো, যা পরবর্তিতে দুই দেশের সরকারী পর্যায়ের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত একটা কোনরকম সুস্থ পর্যায়ে এসেছিলো , কিন্তু সেই ভূয়া প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের এতজন কর্মকরতার ট্রেনিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব যদি ভারতে সরকারী ভাবে পেতে পারে
তাহলে সেখানে ট্রেনিং আর ডক্টরেট এর কান্ডকারবার কত পদের হতে পারে কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলাম।
অবশ্যই মমতাজ সংগীতে সর্বোচ্চ সব সম্মাননা পাবারই যোগ্য।
তবে জ্যোতিষের বড় বড় ডিগ্রীধারীদের থেকে সাবধান।
#ডিগ্রী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন