পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১

সত্য কখনও চাপা থাকে না ?

 “ সত্য কখনও চাপা থাকে না”

… এই কথাটা আসলে দূর্বলের বা অসহায় ভিক্টিমের স্বান্তনা বৈ কিছু নয়।
সত্য আজীবন চাপা থাকতেও পারে আবার প্রকাশিত হতেও পারে। দুই স্টেটই সম্ভব।
বিশিষ্ট সাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়ের একটা উক্তি আছে - “মিথ্যারও মহত্ত্ব আছে। হাজার হাজার মানুষকে পাগল করিয়া দিতে পারে মিথ্যার মোহ। চিরকালের জন্যে সত্য হইয়াও থাকিতে পারে মিথ্যা।”
অবশ্যই পারে — না হলে জগতে রক্তপাতের মূল কারণ “ বিশ্বাসের দ্বন্দ” হতো না। সবার কাছে সবার বিশ্বাস অপ্রমাণিত হলেও কল্পিত সত্য হয়ে দ্বান্দ্বিক সমস্য তৈরী করতো না।
আবার কেন সত্য যদি অনেক অনেক পরে প্রকাশিত হয়েও যায় তাতে যারা সেই সত্যের অপ্রকাশে ভিক্টিম হয়ে ভুল শাস্তি বা যাতনার শিকার হয়ে যায় তাদের সে সত্য প্রকাশে কোন লাভই হয় না।
এর সবচেয়ে বড় একটা উদাহরণ - মহা দার্শনিক সক্রেটিস।
তাঁর মত মহাজ্ঞানীকে সমসাময়িক সমাজের ধর্ম ও ব্যবস্থার বিরিদ্ধাচারণ করায় হেমলোক বিষপানে মরে যেতে হয়েছিলো।
অথচ যে প্রচলিত গ্রীক ধর্ম ব্যবস্থার তিনি সমালোচনা করতেন তা তার মৃত্যুর ১৩০০ বছর পর থেকে পুরোপুরি পৃথিবীতে আর কেউ বিশ্বাস করে না , সকলের কাছেই গ্রীক রিলেজিয়ন এখন চমৎকার এক মিথলজি …
তারমানে এই কল্পিত বিশ্বাসের সত্য প্রকাশিত হলেও সক্রেটিসের বিন্দু কণাও আর পৃথিবীতে অবশিষ্ট নাই ।
এইতো নিকট অতীতেই কত সত্যই তো আমরা জানি না।
করোনা ভাইরাস - ম্যান মোডিফাইড না ফুললি ন্যাচারাল এই সত্যটাও আমরা জানি না।
আমাদের একমাত্র আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন সুপার স্টার সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলো না তাঁকে হত্যা করা হয়েছিলো - সে সত্যও চাপা পরে গেছে।
সাগর-রুনীর হত্যার সত্য কারণও আমরা আর জানতে পারবো কিনা বোঝা যাচ্ছে না।
আমি একটা লোককে একবার দেখেছিলাম, তার একটি হাত নেই , জেনেছিলাম সেই লোকটিকে একই নামের আরেকজনের শত্রু পক্ষ ভুলে নাম বিভ্রাটের কারণে ধরে নিয়ে কথা শোনার আগেই হাত কেটে দিয়েছিলো , পরে সত্য জানাজানি হলেও হাত তো তার আর ফিরে আসে নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন