পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০২২

GIVING AWAY THE BRIDE

 ‘Gender equality today for a sustainable tomorrow’ সুন্দর এবং বিস্তৃত থিম এইবছর বিশ্ব নারী দিবসের।


জেন্ডার ক্লাসিফাই করে বললে অসমতার আলোকে… সবচেয়ে বঞ্চিত ও অবদমিত হয়েছে মানব সভ্যতায় বৈচিত্রময় জেন্ডার ( হিজড়া, বৃহন্নলা, ট্রান্সজেন্ডার, উইনিসেক্স, হারমাফোরাডাইট ইত্যাদি সকলে) , তারপর নারী এবং শেষে অল্পবিস্তর পুরুষ।
বিশ্ব নারী দিবস, তাই আলোচনা নারী কেন্দ্রিক। নারীর জন্য জেন্ডার ইকুয়ালিটির সাথে উঠে আসে যে সকল শব্দ তার মধ্যে উইম্যান পাওয়ার, ইকুয়্যাল রাইটস এই শব্দ দুটি সবচেয়ে আলোচিত।
এই দুই ক্ষেত্রে নারীর জন্যে পুরুষের সাথে ইকুইলিব্রিয়াম করার জন্য গত শতক থেকে ব্যপক আয়োজন শুরু হয়ে এখনও চলছে । অবশ্যই সাধুবাদ কারণ মানুষের পাঁচ ছয় হাজার বছরের উন্নত সভ্যতায় এই বিগত এক দেড়শ বছর এ সমতায়নে মানবজাতি সবচেয়ে বেশি অগ্রসর। আমরা এজন্য গর্বিত জেনারেশন।
কিন্তু GIVING AWAY THE BRID এই যে একটা সামাজিক এক্সেপ্টেবল ট্রেডিশন যেখানে একজন নারীকে পিতা-মাতা কে ছেড়ে চলে আসতে হয় পার্টনার বা হাসবেন্ডের কাছে… এইটা একটা একপেশে ট্রেডিশন।
…the history behind the tradition is a little hard to swallow. “Well, the tradition comes from an era where women were the property of men, fathers walking their daughter down the aisle and giving their daughter, the bride, away represented a transfer of ownership from her father to her new husband”(brides.com, 2021).
প্রচলিত ট্রেডিশনের যে বাংলা শব্দগুলো ব্যাপক প্রচলিত, যেমন- কন্যা দান, সম্প্রদান, পাত্রস্থ করা, বিয়েতে বসা, বিয়ে করা বউ আনা, কন্যা হস্তান্তর ইত্যাদি … এগুলোর মধ্যেও নারী যেন মূল্যবান সম্পত্তি যেমনটি উপরের ইংরেজীতে কোটেশনে বলা হলো… সম্পত্তির ধারণা থেকেই হয়তো বাবা মেয়েকে একজন সুপাত্রে সম্প্রদান করে দেয়া ও সুপাত্র স্ত্রী হিসাবে তাকে আবার গ্রহণ করার এই বহুল প্রচলিত আদি নীতি চলেই আসছে !
এইটা একটা চরম অসমতা, একপেশেও বটে। এই এক অসমতা থেকে নারীর মধ্যে যে আত্মদূর্বল মনোভাব ( Self weakness) গড়ে ওঠে নারীর অজান্তেই তার থেকে হাজারো অসমতার ও বৈষম্যের চারা গজায়।
অথচ এই Giving Away The Bride বিষয়টার আপগ্রেডেশন বা মোডিফিকেশন নিয়ে মূলত আলোচনা কেউই করতে চায়না । যদিও আধুনিক অনেক ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী দুই পরিবারের থেকেই আলাদা হয়ে তৃতীয় স্থানে নতুন সংসার শুরু করে থাকে । তবে শুরুতে বিয়ের সময় কেঁদে কেটে কন্যাকে বিদায় দেয়ার ট্রেডিশন সেখানেও বিরল নয়।
বিশ্ব নারী দিবসে একজন ফেমিনিস্ট হিসাবে আমার প্রত্যাশা নারী-পুরুষ সকল কিছু তে সমতা পাক, সমতা পাক আমাদের সবার ( মানে নারী পুরুষ বৈচিত্রময় লিঙ্গের মানুষ ) ধীরে ধীরে তিলে তিলে শৈশব থেকে গড়ে ওঠা ‘পুরুষ কেন্দ্রিক’ মস্তিষ্কের থিংকিং ভল্টও।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন