অষ্ট্রেলিয়া মাইগ্রেট করার পর থেকে প্রতি বছর ২৬ শে জানুয়ারী এলেই চোখে পড়ে ‘Australia Day’ আর ‘Invasion Day ‘ বিতর্ক, প্রোটেস্ট, আলোচনা ।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আমার আগের বহুল ব্যাবহৃত ফেসবুক আইডি (mamunmaziz) এ কয়েকবার বেশ কিছু দীর্ঘ লেখা লিখেছিলাম বিস্তারিত পড়াশুনা করে করে। ফেসবুক তো সেসব সব গিলে খেয়েছে ।
যা গেছে যাক!
আমার কথা হলো - Invasion মানে বহি:আক্রমন(এবং স্বীকৃত অত্যাচার) তো ১৭৮৮ সালে বৃটিশ কর্তৃক আদি অষ্ট্রেলিয়ার অধিবাসীদের উপর ঘটেছিলোই - ইহা যেমন সত্য তেমনি ঐ ঘটনার পর এই অষ্ট্রেলিয়া নামক আধুনিক দেশ ও গঠিত হয়েছে যেখানে আজ আমি সহ আড়াই কোটি মানুষ বাস করে । তারমানে ১৭৮৮ সালের জানুয়ারীতে ক্যাপ্টেন ফিলিপ কর্তৃক কলোনাইজ্শনের সূচনাটি এই চমৎকার আধুনিক দেশ গঠনের প্রেক্ষাপট - এটাও সত্য।
ক্যাপ্টেন ফিলিপ বর্তমান সিডনীর বোটানি বে উপকূলে পৌঁছেছিলো ১৮ ই জানুয়ারী ১৭৮৮, আর মূল আগ্রাসন শুরু করে ২৬শে জানুয়ারী সিডনী কোভে পাকাপাকি নামার পরে ।
তারমানে ১৮ থেকে ২৬ এর মধ্যে ক্যাপ্টেন ফিলিপের ফার্স্ট ফিলিট আর অন্যান্য জাহাজগুলো সিডনীর উপকূলে ঘুরে বেরিয়েছে, নেমেছে উঠেছে …
৭/৮ দিন - এর মধ্যে একটিন ইনভেসন ডে আরেকদিন অষ্ট্রেলিয়া ডে পালন করলেই এই রোজকার প্রোটেস্ট অবসান করা যায় ।
বিগত দশকে তৎকালীন অষ্ট্রেলিয়ান প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক আদিবাসীদের কাছে প্রকাশ্যে অফিসিয়ালী ক্ষমা চাওয়ার দৃষ্টান্তও আছে । আদিবাসীদের জন্য সুযোগ সুবিধাও প্রচুর।
এখন ইনভেসন ডের পক্ষে আর অষ্ট্রেলিয়া ডের পক্ষে যে যেখানেই থাকুক আদিবাসীদের কাছে তো আর কেউ ভূ খন্ড প্রদান করে চলে যাচ্ছে না বা কেউ সেইটা চেয়ে আন্দোলনও করছেনা ।
আসলে একটা হাইপে থাকা আরকি - হাইপ যেহেতু ডেসট্রাকটিভও হচ্ছে না … সমাধানের মাথা ব্যথাও ধীর স্থির হয়তো!
#AustraliaDay
#Invasionday
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন