১৪২৬ বঙ্গাব্দ থেকে নতুন গননা নিয়মে
২১ শে ফেব্রুয়ারি এখন প্রতিবছর ৮ ই ফাল্গুন
মানে সেই ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারির মত,
এখন এসে মিলে গেছে …
ক’বছর আগে মিলতো না …
মানে এইসব গননার মিল, মেলানো কৃত্রিম বিষয়;
একদা ভাষা দিবসের পালন ইংরেজি সনে- হাউকাউ হইতো,
কেউ কইতো ইংরেজতো গেছেগ্যা ’৪৭ এ তাই
ইংরেজীতে দোষ নাই , ওদিকে উর্দূতে আলাদা সন তারিখও নাই …
তারা আবার উচ্চারণে ভারতবর্ষের মত কিন্তু লেখনিতে আরব্য স্বজনী…
আজকাল উর্দূ মুভির মানোন্নায়ন হয়েছে কিঞ্চিৎ
আর বাংলা মুভির নেমেছে ধ্বস …
টেলিফিল্ম আর ওয়েব সিরিজ জমছে ভালোই…
কিন্তু মূলধারার মুভিতো বাংলা ভাষার কদর নাই,
শ্রমজীবির কথা নাই, রাজপথের চিত্র নাই …
আত্মত্যাগের ইতিহাসগুলো কথা বলে না …
মুভি যে শক্তিশালী মাধ্যম তা এফডিসিই ভুলে গেছে,
আসলে যেমন গননার মিল ঘটানো একটা কৃত্রিম বিষয়
আপন ভাষায় সাহিত্য রচনাও একটা কৃত্রিম বিষয়
তবে সেইটারে আরও কৃত্রিম বানায়ে ইংরেজীতে ট্রান্সলেট না করাইলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মশাইরেও বিশ্ব ‘ট্যাগর’
কয়ে এক নামে চিনতো না …
নোবেল পাওয়াটাও একটা কৃত্রিম বিষয়…
এই জগতে যা দেখি আর শুনি সবই কৃত্রিম…
কৃত্রিম সিস্টেমের অভাব বা অতি সিস্টেমের গ্যাঁড়াকল!
… তবে কৃত্রিমের বিপরীত হইলো ক্ষুধা…
আহা! ক্ষুধারে মিলায় দেওয়া যায় না ?…
উহা আসিলে তাহাকে না থামাইলে ধ্বংস অনিবার্য …
তবে কি সকল কৃত্রিমতা ক্ষুধার লাগি …
তবে কথা তো কোন ভাষাতেই বলিলে হয়…
হয় কি!
হবে না কেনো?
কেবল সাধ মেটে না , তুষ্টি হয় না…
যদিও সাধ - তুষ্টি —- তাও কৃত্রিম …
তাই জ্ঞান আহরণের কোন ভাষা নেই … কেবল গভীরতা আছে…
আর জ্ঞান কৃত্রিম নয় , জ্ঞানও এক ক্ষুধা
যার লাগে সে বোঝে … জ্ঞান আর ভাষার সম্পর্ক শুধু
ব্রেনের বোধদয়ে …
তবে ভাষা দিয়ে জাতিগত বিভাজনও হয়…
এইখানে কৃত্রিমতার সূতো একটু প্যাচ খেয়েছে
যে কারণে ভাষার জন্যে আন্দোলন হয় ।
আমার ভাষায় আমার যেকোন কথা বলার অধিকার
বন্ধ করার কৃত্রিম দম্ভ কারও কোনো রবে…
তাই সেদিন ৫২তে সে দাবী যারা করেছিলো তাদেরও অবশ্যই স্মরণে রাখতে হবে … কৃত্রিম স্মরণ নয়, ক্ষুধার মত
জ্ঞানের মত …. সজীব, প্রয়োজনে।
(কৃত্রিম!)
মামুন ম. আজিজ
২১/২/২০২৩
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন